সারাদেশ

কনডেমড সেলে যেভাবে প্রথম দিন কাটল মিন্নির

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি কারাগারের কনডেমড সেল থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে গতকাল ফোন করেন। সকাল ১০টার সময় করা ফোনে কথা বলার সময় মিন্নি বেশ কান্নাকাটি করেন। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানান, ‘সকাল ১০টার দিকে মিন্নি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। সে খুব কান্নাকাটি করেছে। মিন্নি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে।’

বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেমড সেলের একমাত্র নারী আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দিকে কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে। কারাগার থেকে প্রত্যেককে দুই সেট করে পোশাক দেওয়া হয়েছে। কনডেমড সেলের বন্দিরা সেল থেকে বের হতে পারেন না। তবে মাসে স্বজনদের সঙ্গে একবার দেখা করতে পারেন। সপ্তাহে একবার ফোনে স্বজনদের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কথা বলতে পারেন।’

জেল সুপার আরও বলেন, ‘মিন্নিকে আজ সকালে রুটি খেতে দেওয়া হয়েছে। দুপুরের খাবার ছিল ভাত, সবজি ও ডাল। রাতে গরুর মাংস, ভাত ও ডাল দেওয়া হবে।’

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। প্রাপ্ত বয়স্কদের বিচারিক কার্যক্রম গত ১৬ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। বুধবার মিন্নিসহ ৬ আসামিকে মৃত্যুদ- দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

Comment here

Facebook Share