কেমিক্যাল দিয়ে হাড় থেকে মাংস আলাদা করতেন বাপ্পি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কেমিক্যাল দিয়ে হাড় থেকে মাংস আলাদা করতেন বাপ্পি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্জন স্থান, গভীর অরণ্য বা পাহাড়ি জনপদে নিয়ে কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে পচিয়ে হাড় থেকে মাংস আলাদা করতেন বাপ্পি। মাংস ছাড়ানোর পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কারও করতেন তিনি। পরে তুলে দিতেন পাচারকারীর হাতে। তাদের মাধ্যমে এই কঙ্কাল চলে যেত মেডিকেল শিক্ষার্থী-শিক্ষক, চিকিৎসকসহ পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল ও ভারতে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য স্বীকার করেছে বাপ্পি।

এর আগে গতকাল রোববার ভোরে ময়মনসিংহ নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে মানুষের ১২টি খুলি ও দুই বস্তা হাড়সহ বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, কঙ্কাল চুরি চক্রের সদস্যরা কবর থেকে লাশ তুলে কঙ্কাল সংগ্রহ করে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। এমন সংবাদ পেয়ে নগরীর আর কে মিশন রোড এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ১২টি মাথার খুলি, দুই বস্তা হাড়সহ বাপ্পিকে আটক করা হয়।

তিনি জানান, ওই বাসাতেই কঙ্কাল মজুত করা হতো। সেখান থেকে পাচার করা হতো বিভিন্ন স্থানে। কঙ্কাল চুরি চক্রের সদস্যরা জেলা-উপজেলার বিভিন্ন গোরস্থানের কবর খুঁড়ে লাশ চুরি করে বাপ্পির কাছে পাঠাত।

বাপ্পিকে জিজ্ঞাসাবাদে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি ফিরোজ তালুকদার।

এদিকে, এ ঘটনায় রীতিমতো হতবাক এলাকাবাসীও। স্থানীয় কাইয়ুম নামে একজন বলেন, বাপ্পির বাসার দোতলার বারান্দা পুরোটাই একটা পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকত। বাসার জানালাও কখনো খোলা থাকতে দেখা যায়নি।

আবুল কালাম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘বাপ্পিকে ঘরের বাইরে খুব একটা বের হতেও দেখিনি। তবে সে অনেক রাত জাগতো। রাত ৩টা বা ৪টা পর্যন্ত তার বাসার লাইট জ্বলতো। ভেতরে এত কিছু হতো তা আমাদের ধারণাতেই ছিল না।’

 

Comment here