নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। ওই দিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। একই সময়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার সুপরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে হত্যা করার জন্য বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। আমরা তাকে বাঁচাতে চাই। তার মুক্তির জন্য সাংবিধানিকভাবে যত রকমের চেষ্টা করার আমরা সবই করছি। আইনগতভাবেও যতরকম পথ আছে, তা সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এটা আইনের মধ্যে নেই। সেজন্য জনগণকে সাথে নিয়ে তার মুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পুরো ইচ্ছেটাই সরকারের হাতে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সরকারই দায়ী। এ ধরনের মামলায় সাত দিনের মধ্যে জামিন হওয়ার কথা। সাধারণ নাগরিকও সাত দিনে জামিন পায়। কিন্তু ওনাকে দুবছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোলের জন্য আবেদন করা হয়েছে কি না সেটা আমার জানা নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।’
বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি পেয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনুমতির প্রয়োজন নেই। আমরা বার বার বলেছি, এটা অনুমতির বিষয় না যে তাদের জানিয়ে করতে হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেসারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব প্রমুখ।
Comment here