লালমনিরহাট ও হাতীবান্ধা প্রতিনিধি : দেশের প্রতিটি জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ আগামী বছর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ‘দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে তরুণরা শুধু চাকরি করবে না, তরুণরা এখন চাকরি দিবে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাট শহরের সাপ্টানা এলাকায় হাইটেক পার্ক নির্মাণের স্থান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি জেলার হাতীবান্ধায় বাংলাদেশ-তুর্কী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’র উদ্ধোধনও করেন।
‘বাংলাদেশ এখন আর কারো সাহায্যের জন্য অপেক্ষায় থাকে না। বাংলাদেশ এখন কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে’, বলেন পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে ২০০ প্রকার সেবা দিচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। পিছিয়ে পড়া বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীরা এখন থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-মার্কেটিংয়ের সুবিধা নিয়ে নিজেদের পণ্য বাইরে বিক্রির সুযোগ পাবেন। দীর্ঘদিন নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত ছিটমহলবাসী এখন ভিডিওর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন।’ আইসিটি খাতে এই অভাবনীয় সাফল্যকে মুজিব শতবর্ষেরই উপহার হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি।
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ অর্থ বছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি শেখ কামাল প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্মাণকাজ চলমান, ১১টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ৬৪ জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যেখানে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণী নিজে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অন্যকে চাকরি দেওয়ার সুযোগ পাবে। পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা তথা প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রযুক্তিসেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, অতিরিক্ত সচিব বিপ্লব কুমার ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি, তুর্কী রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ও আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ইফতেষার হোসেন মাসুদ।
Comment here