অনলাইন ডেস্ক : মানুষের মনে একটা বিভ্রান্তি তৈরির জন্যই ফোনালাপের আংশিক অংশ সাজিয়ে-গুছিয়ে প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। গতকাল মঙ্গলবার তার ফোনালাপের কিছু অংশ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হওয়ার পর ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এই দাবি করেন।
চ্যানেলটির প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়, এক আত্মীয়কে ১৩ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিতে তদবির করছেন নুরুল হক নুর। এ ছাড়া যেকোনো আন্দোলনে আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে টেক্সাসের এক বিএনপি নেতার সঙ্গে অর্থ সহায়তার বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তার।
এ বিষয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, ‘আসলে ঘটনাটি আপনাদের জানা উচিত, সেখানে (ফোনালাপ) আমাদের হেয় করার জন্য, আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটা ফোনালাপের কিছু আংশিক অংশ সাজিয়ে-গুছিয়ে প্রচার করা হয়েছে, যাতে মানুষের মনে একটা বিভ্রান্তির তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমার আন্টির কনস্ট্রাকশনের বিজনেস আছে। তার একটি কাজের ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার লাস্ট ডেট ছিল, তার দুদিন আগে সে (আন্টি) আমাকে ফোন করেছিল। কারণ সে ছিল এলাকায়, আমার মামাতো ভাই মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে। সে আমাকে বলেছিল, আমি কাউকে দিয়ে ব্যাংক গ্যারান্টি করিয়ে রাখতে পারি কিনা। কারণ যেহেতু সরকারি কাজের লাস্ট ডেট দুদিন আছে।’
‘তখন আমিও আমার পরিচিত একজন যিনি কনস্ট্রাকশন কাজে করে তাকে বলেছিলাম, আসলে সে ১৩ কোটি টাকার কাজের ব্যাংক গ্যারান্টি করতে পারবে কিনা?’
প্রপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য ফোনালাপ ফাঁস করা হয়েছে জানিয়ে নুর বলেন, ‘আমার আন্টির সাথে আমার অনেক ধরনের কথা হয়েছে, সেগুলোর আংশিক অংশ সেখানে ছড়ানো বা সাজিয়ে প্রচার করা হয়েছে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য। যেটা আমার পারিবারিক বিষয় বা আমাদের ব্যবসায়িক একটা বিষয়। সেখানে কোনো ধরনের ঘুষ-দুর্নীতি কিংবা আমি কাউকে তদবির করতেছি, তোষামদ করতেছি-সে ধরনের কিছু নাই। ’
প্রবাসী ব্যক্তির কাছ থেকে আন্দোলনে আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে ডাকসু ভিপি বলেন, ‘একজন লোক আমার কাছে পরিচয় দিয়েছিল, সে প্রবাসী। সে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী, আমাদের হেল্প করতে চায়। তখন আমি তাকে বলেছি, আসলে অপরিচিত লোক, আপনার কাছ থেকে আমি হেল্প নিবো না।’
‘তারপরও আপনি যদি আমাদের হেল্প করতে চান, এখন আমাদের হেল্প প্রয়োজন নেই। যখন আমাদের লাগে আমরা আপনাকে বলব। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নেইনি কিংবা আর্থিক লেনদেন হয়েছে সে ধরনের কথা নেই। ’
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বেডরুম পর্যন্ত নজরদারি করা হয় জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকেন, আপনি যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। কিন্তু দেখেন সে বলেছে, একটা মেইল অ্যাড্রেস দেন আমাকে, একটা নম্বর দেন। আমি সেখানে কী রিপ্লাই দিছি, সেখানে (ফোনালাপ) নাই। ’
Comment here