নিজস্ব প্রতিবেদক,সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা শহরে এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে নার্সকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শহরের শিমুল ক্লিনিকের অভিযুক্ত ডা. রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ক্লিনিকে আটকে রেখে ধর্ষণের খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওই নার্সকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সদর উপজেলার এক কিশোরী ১৫ দিন আগে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল খুলনা রোড এলাকার শিমুল ক্লিনিকে নার্সের চাকরি নেয়। চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই ওই ক্লিনিকের ডাক্তার রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে।
তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার রাত ১০টার দিকে রিয়াজ কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দেয়। পরে কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে কর্মচারী মাহমুদ ও ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ দুজনে তাকে ক্লিনিকের তিনতলা থেকে ছাদের ওপর নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে জ্ঞান ফেরার পর ওই নার্স বাইরে আসার চেষ্টা করলে তাকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুন। ডাক্তার রিয়াজুলের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেবেন-এই প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য দুইদিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখে শহিদুল।
এদিকে, দুদিন ধরে কিশোরীর কোনো খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সদর থানায় পুলিশকে জানায়। পরে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সদর থানা পুলিশ শিমুল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুনসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালত তোলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আর ভুক্তভোগী নার্সকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মেডিকেল রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Comment here