‘অটো প্রমোশন’ নয়, মূল্যায়ন করেই নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
শিক্ষাঙ্গন

‘অটো প্রমোশন’ নয়, মূল্যায়ন করেই নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরসের কারণে এ বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগেই বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা বাতিল হলেও ‘অটো প্রমোশনে’ নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ পাবে না তারা। এ জন্য যেকোনো পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে তাদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। আর কীভাবে মূল্যায়ন হবে সেজন্য কয়েকটি বিকল্প ঠিক করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বিষয়টি জানান। তার সভাপতিত্বে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এক সভায় শেষে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর বকশি বাজারে অবস্থিত ঢাকা বোর্ডে অনুষ্ঠিত এই সভায় শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানেরা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের সভায় স্থগিত থাকা উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি)  ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ করোনাকালে এইচএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শিক্ষাবোর্ডগুলোর হাতে নেই। সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এ বছরের ষষ্ঠ, সপ্তম এবং নবম শ্রেণির মূল্যায়নের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কাজ করছে।

মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘জেএসসি পরীক্ষা বাতিল হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যেকোনো পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) একটি নির্দেশনা তৈরি করে দেবে। আর এই নির্দেশনা তৈরির মূলনীতি হবে করোনা শুরুর আগে ১৫ মার্চ পর্যন্ত যতটুকু ক্লাস হয়েছিল, সেটি এবং এরপর সংসদ টিভি ও অনলাইনে যতটুকু ক্লাস হয়েছে সেটিকে বিবেচনা নিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা।’

তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাস শুরু করা গেলে সেই ক্লাসগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা। আর না খুললে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া ক্লাস এবং টিভি ও অনলাইনে নেওয়া ক্লাসের ভিত্তিতে মূল্যায়নটি হবে। আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এই মূল্যায়নটি করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে তখন যদি সশরীরে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটা করা।’

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চেয়ার আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অনলাইনসহ প্রতিষ্ঠানগুলো যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এই মূল্যায়নটি করবে। এই মূল্যায়নটি পরীক্ষার মাধ্যমে হবে, নাকি অন্য উপায়ে করা হবে সেটি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সুবিধামতো ঠিক করে নেবে। তবে মূল্যায়ন একটি হবেই। আর পাঠ্যসূচির যে বিষয়গুলো পড়ানো সম্ভব হবে না, সেটি নবম শ্রেণির ক্লাসের সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হবে।’

চলতি বছর জেএসসি-জেডিসিতে প্রায় ২৫ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। করনোর কারণে গত ২৭ আগস্ট সরকার এ পরীক্ষা বাতিল করে। তার আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও বাতিল ঘোষণা করা হয়। জেএসসি ও জেডিসি বাতিলের সময় বলা হয়েছিল, স্ব স্ব বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন করবে। আজকের সভায় মূলত জেএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় মূল্যায়নটি কীভাবে হবে সেটি ঠিক করা হয়েছে।

Comment here