জাতীয়

আজহারী নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়লেন কীভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর পক্ষে ওয়াজ করেও কী করে নির্বিঘ্নে মালয়েশিয়া চলে গেলেন মিজানুর রহমান আজহারী- জাতীয় সংসদে এ প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে গতকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশকে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি উপহার দিয়েছিলেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের বিরুদ্ধে তিনি কেবল সোচ্চার ছিলেন না, বাস্তবে তার অনুসরণও করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারও ধর্মানুভ‚তিতে আঘাত দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি এ সংসদে স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ইউটিউবে প্রচারিত ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টিকারী কিছু বক্তব্যের পেনড্রাইভ দিয়েছিলাম। সেসবের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানা নেই।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর পক্ষে ওয়াজকারী জনৈক আজহারী সম্পর্কে ধর্মমন্ত্রী বলেছেন- তিনি জামায়াতের হয়ে কাজ করেছেন। আইসিটি আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরং নির্বিঘ্নে মালয়েশিয়ায় চলে যেতে দেওয়া হয়েছে। আর শরিয়ত বাউলকে আইসিটি আইনে গ্রেপ্তার করে জেলখানায় রাখা হয়েছে।

এর পর তিনি প্রশ্ন রাখেন- রাষ্ট্র কি অতীতের মতো আবার মৌলবাদকে পোষকতা দিচ্ছে? না হলে আজহারী দেশ ছেড়ে যেতে পারেন না। খতমে নবুয়ত নতুন করে হুঙ্কার ছাড়তে পারে না। হেফাজত সমর্থন (?) প্রত্যাহারের হুমকি দিতে পারে না। এরাই কদিন পর পাকিস্তানি কায়দায় ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন করতে বলবে, যেমন এ সংসদেই যুদ্ধাপরাধী নিজামী সে প্রস্তাব তুলেছিলেন।

এ ছাড়া সদ্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটারদের কম উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মেনন বলেন, ভোট থেকে মানুষের এ দূরত্ব গণতন্ত্রের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। নির্বাচন তো বটেই, রাজনৈতিক দলগুলোকেও অপ্রাসঙ্গিক করে তুলবে।

Comment here

Facebook Share