মুহাম্মদ মোরশেদ আলম,ইউএই : সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি বিমানবন্দরে গত শনিবার ভোর থেকে এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটের ৫১ জন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৮১ জনসহ মোট ১৩২ জন যাত্রী আটকা ছিলেন। এর মধ্যে ১২৭ জনকেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে আবুধাবি। বাকি পাঁচজনকে তাদের স্থানীয় স্পন্সররা নিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে টানা দুদিন চেষ্টা করেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় আজ সোমবার ভোরে ফিরে যেতে হয়েছে বিমানের ৭৭ জন যাত্রীকে। আর এয়ার এরাবিয়ার হতভাগা ৫০ জন যাত্রীকে সোমবার দিনে অথবা রাতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আমিরাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের যাত্রীদের নিয়ে আসার পূর্বে আবুধাবি ইমিগ্রেশন থেকে API (Advances passengers Information) নিতে হয়। কিন্তু বিমান ও এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে আসার আগে কতজন যাত্রী নিয়ে আসছেন এবং যাত্রী কারা ছিলেন সে তথ্য আবুধাবি ইমিগ্রেশনকে না দেওয়ায় অর্থাৎ API না দেওয়ায় আবুধাবি ইমিগ্রশন মোট ১২৭ জন যাত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর মুহাম্মদ আবদুল আলিম মিয়া।
যাত্রীদের বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে রোববার রাত পর্যন্ত আমরা সব পর্যায়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু বিষয়টি আমিরাতের আইনের পরিপন্থী হওয়ায় সফল হতে পারিনি।’
এয়ারলাইন্সগুলোকে যাত্রী নিয়ে আসার আগে আমিরাত সরকারের শর্তাবলী মেনে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান ও মিশরের প্রায় ৪শ যাত্রীকেও একই সমস্যার কারণে আবুধাবি ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
আটকে থাকা মুহাম্মদ ইমরান হোসেন নামের একজন যাত্রী রাত রোববার ২টা ৪৫ মিনিটে টেলিফোনে বলেন, ‘এখন আমাদেরকে হোটেল থেকে এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, মানে আমাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে দেশ আমাদের জন্য কিছুই করতে পারলো না?’ কিছুক্ষণ চুপ থেকে হতাশ কণ্ঠে, ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলে বিদায় নিলেন এ যাত্রী।
জানা গেছে, সোমবার আমিরাত সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে BG-228 ফ্লাইটে করে দেশে যাত্রা করেছেন ৭৭ জন প্রবাসী।
Comment here