আপনারা যথেষ্ট বেয়াদবি করেছেন, গ্রিন লাইনকে হাইকোর্ট - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

আপনারা যথেষ্ট বেয়াদবি করেছেন, গ্রিন লাইনকে হাইকোর্ট

গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে কিস্তিতে বাকি ৪৫ লাখ টাকা মোট নয় মাসে পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে ওই অর্থ রাসেলকে দিয়ে ১৫ তারিখের মধ্যে আদালতে অর্থ পরিশোধ বিষয়ক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ক্ষতিপূরণের টাকা কমানো ও কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের আরজি জানিয়ে গ্রিন লাইনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।

শুনানিকালে গ্রিন লাইনের আইনজীবীকে আদালত বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের অর্থ হ্রাস করার কোনো সুযোগ নেই। পুরো টাকাই কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করার কোনো ফন্দিফিকির করা হলে আপনাদের সরকার কীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে, তা আমরা দেখব। আপনারা যথেষ্ট বেয়াদবি করেছেন। আপনাদের আচরণ কোনোভাবেই শোভনীয় নয়।’

এর আগে গত ২২ মে হাইকোর্ট নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন। গত বছর ২৮ এপ্রিল রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গ্রিনলাইন পরিবহনের চালক রাসেলকে চাপা দেন। পরে তার জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি। গত বছরের ১৪ মে এই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে রাসেলকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়। পরে চূড়ান্ত শুনানি করে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে পরিবহণ কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে গেলেও তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

পরে গত ১০ এপ্রিল বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকার চেক দেয় গ্রীন লাইন পরিবহন কোম্পানি। একইসঙ্গে ওই কোম্পানির সময় আবেদন মঞ্জুর করে বাকি ৪৫ লাখ টাকা ৩০ দিনের মধ্যে প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া দেশের মধ্যে যেখানে কৃত্রিম পা সংযোজনসহ ভালো চিকিৎসা হয় সেখানে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়। কিন্তু বাকি টাকা আর পরিশোধ করেনি গ্রিন লাইন।

আদালতে গ্রিন লাইনের মালিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। এদিন ক্রাচে ভর দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন রাসেল সরকার।

Comment here