নিজস্ব প্রতিবেদক :বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। চার্জশিটে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২১ জন ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর বাকি চারজন এখনো পলাতক রয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, আবরার হত্যায় ২৫ জনকে আসামি করে দুপুরে মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট পাঠানো হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৬ জন ও এজাহারের বাইরে পাঁচজন আছেন। আর বাকি চারজন এখনো পলাতক।’
ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি জানতে পারে যে, আবরার হত্যায় সরাসরি অংশে নিয়েছিল ১১ জন। এ ছাড়া বাকি ১৪ জন হত্যাকাণ্ডে বিভিন্নভাবে জড়িত ছিল।’
এজাহারনামীয়রা হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল , মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।
এজাহার বহির্ভূত পাঁচজন হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু। এদের মধ্যে প্রথম ১৬ জনের নাম হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ ছিল। বাকিদের নাম তদন্তে উঠে এসেছে।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
Comment here