সারাদেশ

আবরার হত্যা : আসামি ইফতির ‘দুশ্চিন্তায়’ স্ট্রোক করে মারা গেলেন বাবা!

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পাঁচ নম্বর আসামি ইফতি মোশাররফ সকালের বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

ইফতির বাবা ফকির মোশাররফ হোসেন (৫৫) রাজবাড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ধুনচি গ্রামের আটাশকলোনি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

ছেলের ‘দুশ্চিন্তায়’ অসুস্থ হয়ে গতকাল শনিবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয় বলে ইফতির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে ছেলে ইফতির শুনানির দিন ছিল। ওই দিন ছেলের শুনানিতে মোশাররফ হোসেন ঢাকায় গিয়েছিলেন। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই ছেলের জন্য দুশ্চিন্তা করতে থাকেন তিনি।

শনিবার রাতে হঠাৎ করে নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করেন মোশাররফ হোসেন। সেখান থেকে দ্রুত তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে স্বামীর মৃত্যুতে পাগলপ্রায় ইফতির মা রাবেয়া বেগম। সরেজমিনে দেখা যায়, স্বামীর জন্য বিলাপ করে তিনি বলছেন, ‘ছেলে জেলে, স্বামীও চলে গেল। এখন আামি কী করব।’

প্রসঙ্গত, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। গত বছরের ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

নৃশংস এ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত এই ২৫ আসামিসহ মোট ২৬ ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

Comment here

Facebook Share