আমাকে জেলে নিয়ে গেলে কিছু করার নেই : মিলা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢালিউডবিনোদন

আমাকে জেলে নিয়ে গেলে কিছু করার নেই : মিলা

সংগীতশিল্পী মিলার সাবেক স্বামী পাইলট পারভেজ সানজারীর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে গতকাল রোববার রাতে। রাজধানীর উত্তরায় এই অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মিলা জড়িত বলে দাবি করেছেন তার সাবেক স্বামী।

তবে মিলা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজ সোমবার বিকেলে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে মুঠোফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলা বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তারপরও যদি তাকে জেলে যেতে হয়, তাহলে তার কিছু করার নেই। যেকোনো বিষয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন।

মিলা বলেন, ‘গতকাল সকালবেলা ছোট বোনের স্বামী ওমরা পালন করে আসল। সন্ধ্যার সময় আমরা সবাই একসঙ্গে ইফতার করলাম। হঠাৎ করে যখন রাতে এই সংবাদটা শুনলাম, আমার তো কলিজায় পানি নেই। আমি যে সানজারীকে ফোন করব, সেই সাহসই তো পাচ্ছি না। আমি যে একটা ফোন দিয়ে ওদের কাউকে জিজ্ঞাসা করব, সেটাও তো আমি পারছি না। আমি ওর খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।’

এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘আমি কী বলব জানি না। যদি সন্দেহ লাগে আমাকে জেলে দিয়ে দেবে, আমার কোনো অসুবিধা নেই। আমর লাইফ এমনিতেই ওখানে শেষ হয়ে গেছে। আমার কিছু করার নেই। আসলে আমার ওই রকম ক্ষমতা নাই। যে কারণে বিষয়গুলো নিয়ে ‍খুব ভুগতে হচ্ছে। আমাকে যদি জেলে ওরা নিয়েও যায়, তাহলে আমার কিছু করার নেই…।’

কারাগারে গেলে তাকে বের করার মতো কেউ নেই দাবি করে মিলা বলেন, ‘আমাকে ভিতরে ঢুকাইয়া ফেললে রেব করারও কেউ নেই। আমি রেডি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। একটা শিল্পী হয়ে আমি আর কী বলতে পারি।’

গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাইলট পারভেজ সানজারীর ছোট ভাই এস এম আর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সংগীতশিল্পী মিলার সহকারী জন পিটার হাওলাদার কিম রাতে পাইলট সানজারীর মোটরসাইকেল রোধ করে তার শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন।

এ বিষয়ে মিলা জানান, তার সহকারী জন পিটার হাওলাদার কিমের সঙ্গে গত শনিবার থেকে টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে তার সঙ্গে মিলার কথা কাটাকাটি হয়। তারপর থেকে পিটারকে আর খুঁজে পাচ্ছেন না মিলা।

মিলা বলেন, ‘ওই ছেলেকে (সহকারী জন পিটার হাওলাদার কিম) না পাওয়া পর্যন্ত আমি তো এমনিতেই কোনো কিছু করতে পারছি না। বাসার পরিস্থিতও ঠিক নেই। আব্বা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি কী করব, বুঝতেছি না। অনেকেই আমাকে ফোন দিচ্ছে। আমি সবার ফোন ধরতেও পারছি না। আমি যেটা বুঝতেছি, ওরা তো অবশ্যই আমার ওপর দোষটা দেয়, যেহেতু ছেলেটা পালিয়ে গেছে, আমি তো আর ওখানে ছিলাম না…।’

সানজারীর অনেক ক্ষমতা দাবি করে সংগীতশিল্পী মিলা বলেন, ‘আসলে এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সানজারীর আসলে অনেক ক্ষমতা আছে। ওর সঙ্গে ইউএস বাংলা আছে, ওর পয়সা আছে, সবই আছে। আমি পারব না কিছুই করতে।’

মিলা আরও বলেন, ‘আমাকে যদি ডাকা হয় বা জানতে চাওয়া হয়, আমি এর সঙ্গে জড়িত আছি কি না। আমি যাব, আমার কোনো অসুবিধা নাই। জিনিসটা তো আমি করি নাই, আমার তো বলতে কোনো সমস্যা নেই। এরপরও যদি আমাকে দোষারোপ করা হয়, আমার কিছু করার নাই। আমাকে জেলে ভরুক আর আমাকে নিয়ে যাক, আমি এগুলো নিয়ে এখন আর চিন্তা করি না।’

হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সানজারীকে পাননি জানিয়ে মিলা বলেন, ‘আমি দুপুরের দিকে ওকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গিয়েছিলাম। কিন্তু ওর কোনো খোঁজ নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে ওরা বলেছে, “এ নামে কেউ আসেনি”। আসলে আমি বুঝছি না, এগুলো কী হচ্ছে।’

Comment here