পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের লবিস্ট-টবিস্ট নেই। আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। যারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তাদের বলেন আল্লাহর ওয়াস্তে দেশটাকে ধ্বংস করার তালে থাকবেন না।’
আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনকে চিঠি পাঠান। এ পরিপ্রেক্ষিতে লবিস্ট নিয়োগ করা হবে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধীদলের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বরং দেশে আরও এনার্জি পাই কীভাবে, দেশে লোকের কর্মসংস্থান হয় কীভাবে, বিনিয়োগ বাড়ে কীভাবে; সেজন্য লবিস্ট নিয়োগ করেন। তাহলে দেশের মঙ্গল হবে। দেশ তো আপনার-আমার সবার। যারা অপজিশনে আছেন তাদেরও দেশটা। সুতরাং দেশকে ধ্বংস করে লাভ নেই। কারণ এটাতে সবার ক্ষতি।’
মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের চিঠির বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘চিঠিতে কিছু তথ্যের গরমিল আছে, ভুল আছে। মিথ্যা তথ্য আছে। তারা বলছে, গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ৬০ পারসেন্ট হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এটা তো সত্যি নয়। বলা হচ্ছে, খ্রিষ্টানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এটাও-তো সত্যি নয়। চিঠিটা মনে হয়েছে, অপরিপক্ব হাতে লেখা। এটা নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘সুশীল সমাজসহ গণমাধ্যমের বলা উচিত এ রকম ভুল তথ্য নিয়ে কীভাবে চিঠি লিখে।’
চিঠি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বলার দরকার নেই। তারা চিঠি চালাচালি কোথায় করছে, এটা তাদের মাথাব্যথা; এটা আমাদের নয়।’
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যত ধরনের প্রচেষ্টা দরকার সেগুলো চালিয়ে যাচ্ছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন চাইলে হবে না। আশা করব, যত দল আছে তারা সবাই প্রতিজ্ঞা করবে তারাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নেবে। তাহলেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
Comment here