বিনোদন ডেস্ক : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা পপি এখন আছেন জন্মস্থান খুলনায়। বেশ কিছু দিন খুলনায় থাকবেন তিনি। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে হাতে একদমই কাজ নেই। তাই অবসর সময় কাটাতেই তিনি বেছে নিয়েছেন নিজ এলাকাকে। কথা হয় তার সঙ্গে। খুলনার স্মৃতি, আড্ডাসহ ছবির অনেক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- ফয়সাল আহমেদ
শুনলাম আপনি এখন খুলনায়। কত দিন থাকবেন?
বেশ কিছু দিন থাকব। গতকাল পরিবারের সবাইকে নিয়ে শিববাড়ির জমিদার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। খুব তো সময় পাই না আসার। বছরে দু-একবার আসার চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে। নিজের মতো করে সময় কাটিয়ে তবেই ঢাকায় ফিরি। করোনার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। সব কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। আমার অভিনীত কোনো সিনেমার শুটিং রিশিডিউল করা যাচ্ছে না। এটা নিয়ে অন্য দশজনের মতো আমিও আতঙ্কের মধ্যে আছি।
আপনি কি একটু বেশিই আতঙ্কিত?
অবশ্যই বেশি আতঙ্কিত। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু হবে- এটাই স্বাভাবিক। হঠাৎ এক ভাইরাস এসে মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, এটা সহজে মানতে পারছি না। কারণ আমাদের দেশে যদি করোনার প্রভাব মহামারী আকারে শুরু হয় তখন কী যে হবে বুঝতে পারছি না।
নতুন কয়েকটি চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেয়েছেন। ওগুলোর কী খবর তা হলে?
প্রতিনিয়তই নতুন নতুন সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব পাই। দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে এখন কিছুই বলা যাবে না। নতুন সিনেমার প্রস্তাব তো পাই কিন্তু বেশিরভাব সিনেমার গল্পে তেমন বৈচিত্র্য নেই। আমার জীবনের গল্প নিয়েও কিন্তু সিনেমা হতে পারে।
সেটি কেমন?
খুলনায় যখন আসি আমার ছোট্ট বেলার দুই বান্ধবী শিমু ও শিউলীর সঙ্গে দেখা হয়ই। যদিও শিমু ঢাকায় থাকে। তার সঙ্গে ঢাকাতেই দেখা হয়। শিমু ও শিউলী আপন দুই বোন। দুই বোনই আমার স্কুলের বান্ধবী। আরও দুজন বান্ধবী আছে মনি ও মায়া। তাদের সঙ্গেও ঢাকায় এলে দেখা হয়। আমরা পাঁচ বান্ধবী একে অন্যের খুব প্রিয়। চেষ্টা করি সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। সিনেমার গল্প এই পাঁচ বান্ধবীকে ঘিরেও হতে পারে। সত্যি বলতে যার যার জীবনের ঘটনা, বা তার আশপাশের ঘটনা থেকেও কিন্তু সিনেমার গল্প হতে পারে। এভাবেই কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় সিনেমার জীবনের গল্প বদলে যায়।
তা হলে বর্তমান সিনেমার গল্প কি আপনার একদমই পছন্দ হচ্ছে না?
সত্যি বলতে কী গল্পে খুব বেশি যে নতুনত্ব পাই, তা নয়। তবে কেউ কেউ চেষ্টা করেন ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে হাজির হতে। আমি বলতে চাচ্ছি, মানুষ সিনেমায় গল্প চায়। সিনেমায় গল্প বলাটা যদি দুর্বল হয়, তা হলে অভিনেতারাই কী অভিনয় করবেন আর দর্শকইবা কেন সিনেমা দেখবে? আমার বিশ^াস, যারা সিনেমার কাহিনি রচনা করেন তারা বিষয়গুলো নিয়ে ভাববেন, গল্পের প্লট নিয়ে আরও বেশি বেশি ভাবা দরকার।
আপনার মুক্তিপ্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র কোনগুলো?
এরই মধ্যে সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ‘সাহসী যোদ্ধা’ সিনেমার কাজ প্রায় শেষ। কিছুটা কাজ হয়ে থেমে আছে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ সিনেমার কাজ। এটি পরিচালনা করছেন আরিফ।
Comment here