বিশেষ প্রতিনিধি : রাকীব বিন আব্দুল মতিন- শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্কুলজীবনের নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত তিনবার নাম কাটা গেছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের।
স্কুলে যাওয়ার শুরু থেকেই বেতন দিতে পারেন নি। বেতন দিয়েছেন গ্রামের মানুষ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আবার কলেজে যখন ফরম ফিলাপ করবো, সে সময় টাকা ছিল না। একদম লাস্ট ডেতে ফরম ফিলাপ করলাম। আমার গ্রামের হাবিবুল্লাহ মিয়া নামের একজন ছিলেন, তিনি আমার কলেজের ফরম ফিলাপের টাকা দিয়েছেন। তিনি এখন নেই। আল্লাহ তাকে বেহেস্তবাসী করুক। তাদের ঋণ আসলে আমি কোনদিন পরিশোধ করতে পারবো না।’ আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি লজিংয়ে থেকে পড়াশুনা করেছি। টিউশনি করেছি। যার স্কুলে পড়ার টাকা ছিল না, তিনি যদি আজ বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হতে পারেন। আমার সামনে (উপস্থিত শিশু কিশোরদের উদ্দেশ্যে) তোমরা যারা উপস্থিত রয়েছো, তোমরা কেনো হতে পারবে না। তোমরা অবশ্যই হতে পারবে ইনশাল্লাহ।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি হচ্ছি বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ হলাম আমি। বাংলাদেশ আমাদের অপার সম্ভাবনার সুযোগ করে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তোমরা সেই বড় স্বপ্নের দিকে ধাবিত হও। তোমরা নিজেদের তৈরি করো, আদর্শ মানুষ হও। দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ধ হও। জাতীয় চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হও। তোমরা যদি এগুলো করতে পারো তোমরা অবশ্যই কাঙ্খিত লক্ষ্য পৌঁছতে পারবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি আইসিসি’র নির্বাচিত সভাপতি ছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম আমার দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। তখন আমি দেশের স্বার্থে আইসিসির সেই লালায়িত পোস্টটি থেকে সরে গিয়েছি। দেশের স্বার্থে সেখান থেকে পদত্যাগ করেছি। আইসিসি থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে সেদিন দাঁড়িয়েছিলাম। তাই তোমাদেরকেও অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশের স্বার্থে।
Comment here