আয়েশা সচেতনতায় গণপিটুনি থেকে বাঁচলেন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

আয়েশা সচেতনতায় গণপিটুনি থেকে বাঁচলেন

আয়েশা সুলতানা (২৪)। বড় ভাই, মানসিক ভারসাম্যহীন মা এবং অসুস্থ বাবার সঙ্গে রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বাসায় থাকেন। জীবিকার তাগিদেই তাকে প্রতিদিন বের হতে হয়। প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বের হয়ে গণপিটুনি থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তিনি। জনগণের সচেতনতার কারণে পুলিশের সহায়তায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচাবাজারে জং ধরা দা-বঁটি সান দেওয়ার জন্য যান আয়েশা। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও বখাটে রাসেল তার পিছু নেয়। ইতোমধ্যে কয়েকবার প্রেমে প্রত্যাখাত রাসেল কিছুতেই আয়েশার পিছু ছাড়ে না। কাঁচাবাজার সেরে আয়েশা দা-বঁটি সান দেওয়ার জন্য এগোচ্ছিলেন। ঠিক তখনই এক মাছ বিক্রেতা জিজ্ঞেস করেন আপা ব্যাগের মাছ কাটবেন না? আয়েশা জবাব দেন  আমার ব্যাগে তো মাছ নেই, আছে দা-বঁটি। বলার সঙ্গে সঙ্গেই পেছনে পেছনে আসা বখাটে রাসেল চিৎকার করে বলে ওঠে ‘কল্লা কাটা … কল্লা কাটা…।’ নিমিষেই শত শত জনতা আয়েশার চারপাশ ঘিরে ধরে। আয়েশা নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে যায়। ৫-৭ মিনিটের মধ্য ৮০০-১০০০ লোক জড়ো হয়ে যান। তবে তাদের কেউ উত্তেজনায় আইন হাতে তুলে নেননি। পুলিশে খবর দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। উত্তেজিত জনতাই আয়েশাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ মাহমুদ দৈনিক মুক্ত আওয়াজ কে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা তার জীবন-সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেন। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকদিন ধরে মাইকিংসহ গণপিটুনির বিরুদ্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলছি। এজন্য কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেননি। এক প্রকার নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বেঁচে আয়েশা পুলিশকে ধন্যবাদ দেন। সাধারণ মানুষের আচারণ এক্ষেত্রে খুবই প্রসংশাযোগ্য।’

Comment here