ইউএনওকে হামলাকারী একজনই, অফিস চত্বরের কেউ! - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ইউএনওকে হামলাকারী একজনই, অফিস চত্বরের কেউ!

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নেওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মনে করছে, হামলার ঘটনায় একজনই জড়িত, তাকে শনাক্ত করা গেছে। তিনি ইউএনওর অফিস চত্বরের কেউ!

আজ শুক্রবার সকালে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, হামলার ঘটনা তদন্তের প্রায় দ্বারপ্রান্তে। হামলাকারী একজনই, তবে তার একজন সহযোগী থাকতে পারে। সহযোগীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নেওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিন দুপুরেই তাদের তিনজনকে তুলে নিয়েছিল পুলিশ।

নাম না প্রকাশের শর্তে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনা তদন্তে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র‌্যাব) কয়েকটি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। হামলাকারী ইউএনওর অফিস চত্বরের কেউ। ঘটনায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, মই, লাঠি জব্দ করার কথাও তিনি জানান।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে হামলার প্রকৃত কারণ ও অপরাধীকে সামনে নিয়ে আসা হবে।

এর আগে গত বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুপুরে মোত্তালিব হোসেন (৩৮) নামের এক নির্মাণশ্রমিককে (রাজমিস্ত্রি) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। আজ সকালে ওই রাজমিস্ত্রিসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক হুমায়ুন, মোত্তালিব, লাল মিয়া ও শাহীন হোসেন।

গত মঙ্গলবার তুলে নেওয়া তিনজন হলেন-ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম, ইউএনওর গাড়িচালক ইয়াসিন আলী (২৮) ও ইউএনওর বাসভবনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অরসোলা হেমব্রম (৩৬)। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আশরাফুল ইসলাম এবং অরসোলা হেমব্রেমকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের তুলে নেওয়া আশরাফুল ইসলাম তার ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর গ্রামে ফিরে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছোট বোন রত্না বেগম। আর অরসোলা হেমব্রেমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনওর বাসার অপর কর্মী সুনীল চন্দ্র।

গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাতুড়ির আঘাতে বড় ধরনের জখম হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদার মাথায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে। পরে শনিবার তার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ওয়াহিদা খানম এখন সবাইকে চিনতে পারছেন এবং কথা বলতে পারছেন বলে জানান তার স্বামী মেসবাহুল হোসেন।

Comment here