অনলাইন ডেস্ক :প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনের পর সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে। এই ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩১ জন।
ইতালির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার নতুন করে আরও ১ হাজার ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারেরও অধিক।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার জন রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, করোনার প্রভাব ঠেকাতে ইতালি সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। ফুটবল ম্যাচসহ সব ধরনের খেলাধুলার ইভেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা জারি করার পর থেকে দেশটির প্রায় ৬ কোটির বেশি মানুষকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সালভেতোরি ফারিনা আক্রান্ত হয়ে নিজেই নিজের বাসায় কোয়ারেনটাইনে আছেন।
ইতিমধ্যে দেশটির সঙ্গে অন্যান্য দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দেশটির সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ফ্লাইটও বন্ধ রয়েছে। আগামী ১২ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশটির ভেনিসে ফ্লাইট স্থগিত করছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স।
এ ছাড়া দুবাই ক্যারিয়ার অস্থায়ীভাবে মিলানে তাদের প্রতিদিনের ফ্লাইট তিনটি থেকে কমিয়ে একটিতে নামিয়ে এনেছে। তবে দৈনিক ফ্লাইটটি চলবে।
কিন্তু নিউইয়র্কের ফ্লাইট পরিচালিত হবে না। করোনার কারণে এই রুটে ১১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত থাকবে।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ আক্রমণে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন। ইতিমধ্যে অনেক রেস্টুরেন্টেসহ মার্কেট বন্ধ হয়ে গেছে। এসব জায়গায় যারা কাজ করতো সবাই এখন বেকার। এতে করে চরম বিপাকে পড়ছে বন্ধ হওয়ার প্রতিষ্ঠানের কর্মরত দেশি-বিদেশি কর্মচারীরা।এ নিয়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝেও।
এখন পর্যন্ত কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। প্রবাসী বাংলাদেশি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১৫০০ এবং ১১২ নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত আবদুস সোবহান সিকদার।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৪ হাজারেরও অধিক। আর ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
Comment here