নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনটি বাকশালের মতোই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ এর প্রসঙ্গ টেনে আজ রোববার বিকেলে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে কাজটা ১৯৭৫ সালে করতে পারেনি, একটা ছদ্মবেশ, বহুদলীয় গণতন্ত্রের একটা মোড়ক সামনে রেখে গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সেই কাজ করতে ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে গেছে। আসলে এখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই। তারা ইতিমধ্যে দুটি নির্বাচন করেছে, সত্যিকার অর্থে জনগণ সেই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পায়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েকদিন আগে আবারও একটা আইন তৈরি করল। ঠিক সেই বাকশালের মতোই। বাকশাল করেছিল ১১ মিনিটে, এটা (ইসি আইন), সাতদিনের মধ্যে একটা আইনও পাস করে নিল সংসদে!
বিএনপির জাতীয় কমিটির উদ্যোগে বাকশাল দিবস উপলক্ষে ’২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ : বাকশাল’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সারাদেশ থেকে এবং প্রবাসী নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
ভার্চুয়াল এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘১৯৭৫ :বাকশাল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। গ্রন্থটি প্রকাশক করেছে বিএনপি।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের পরিচালক সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপদযাপনে দলের জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে সেদিন দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও স্বপ্নকে ধ্বংস করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে দলীয়করণ করে লুটতরাজের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর হাতে দমন করছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো বিভিন্ন নির্বতনমূলক আইন করেছে। এ সময় অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
Comment here