তানবির খান, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ দুদিন বাদেই ঈদ। কিন্তু যেখানে মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষিজীবী-শ্রমজীবী পরিবারের, সেখানে ঈদ যেন এক বিলাসিতার নাম। মহামারী, লকডাউন আর দুর্যোগে অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে এসব নিম্নবিত্ত পরিবারের। পাড়া-পড়শীর এমন দুরবস্থায় নতুন লুঙ্গীকাপড় উপহার দিয়ে পাশে দাড়ানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস চালান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ মেহেদী হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র। ছাত্রলীগেরও একজন কর্মী।
মেহেদী হাসান বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবকে বলেন, “এই দুর্যোগে এলাকার পাড়া-পড়শীর মধ্যে যাঁরা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, ঈদে নতুন কাপড় কিনতে পারছেনা, যতটুকু পেরেছি নিজের তৌফিক অনুযায়ীএকজন মানুষ হিসেবে একজন মুসলিম হিসেবে তাদের পাশে দাড়িয়েছি।”
মোট আটটি পরিবারের মাঝে তিনি লুঙ্গিকাপড় বিতরণ করেছেন। নিজের সীমিত সামর্থ্যকে ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, “এখন পরিবার আত্মীয়জনের কাছ থেকে সেলামী যতটুকু পেয়েছি, ততটুকু দিয়ে লুঙ্গীকাপড় বিতরণ করেছি। করোনার বন্ধে টিউশনি নাই, টিউশনি থাকলে আরো কিছু টাকা পেতাম যেটা দিয়ে আরো বেশী মানুষকে লুঙ্গি কাপড় বিতরণ করতে পারতাম।”
কৃষি বিভাগের এই শিক্ষার্থীর ঠিকানা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন বশেমুরবিপ্রবিস্থ মুকসুদপুর ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগর রাজনীতি করেন। এর আগে রমজানের শুরুতে নিজে উদ্যোগে কয়েকজন সহপাঠী মিলে অস্বচ্ছল সহপাঠীদের নগদ অর্থ উপহার দেন। এছাড়াও বাঁধন সংগঠনের পক্ষে মাঝেমধ্যে রক্ত সংগ্রহ করে দেন, নিজেও নিয়মিত রক্ত দান করেন।
Comment here