নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে নালায় পড়ে যাওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টা পর এক টন আবর্জনা সরিয়ে উদ্ধার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার (২০) লাশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, ‘সড়কের নিচে একটা নালা, প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত। আবার এর ভেতরে আরেকটা নালা পাওয়া যায়, সেটাও ৮ থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত। সম্ভবত ৫০-৬০ বছর আগে সড়ক উঁচু করার সময় অপরিকল্পিতভাবে সেই নালা রেখেই আরেকটি নালা করা হয়। আগের সেই নালা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। কমপক্ষে সেখানে তিন টন আবর্জনা জমে আছে। অনেক চেষ্টা করেও ডুবুরি সেখানে যেতে পারেনি। সেটা আবার টার্ন নিয়েছে কর্ণফুলী নদীর দিকে দক্ষিণে। এরপর দুই ক্রেন মিলে আমরা সেই নালার স্ল্যাব উঠিয়ে এক টনের মতো আবর্জনা-মাটি অপসারণ করি। তখন আগের সেই নালার মধ্যে, কমপক্ষে সড়ক থেকে ৭০ ফুট গভীরে হবে, সেখানে আবর্জনায় আটকে আছে। সব মিলিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর আমরা লাশ উদ্ধার করি।’
এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় নালায় পড়ে যান সাদিয়া। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ছাত্রী। তিনি নগরের হালিশহরের বড়পোল এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে নগরের ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা জানান, সাদিয়া চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। ভাগনিকে উদ্ধারের জন্য মামা সঙ্গে সঙ্গে নালায় লাফ দেন কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে নালার বিভিন্ন অংশে খোঁজাখুঁজি করেন ডুবুরি দলের সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে ৩০ গজ দূরে ওই নালা থেকে নিহত ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে, গত ২৫ আগস্ট বৃষ্টির মধ্যে নগরীর মুরাদপুরে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সালেহ আহমদ নামে এক সবজি বিক্রেতা। গত এক মাসেও তার হদিস মেলেনি।
Comment here