গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, বশেমুরবিপ্রবি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। গতরাতে ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে সব দাবী মেনে নেয় প্রশাসন।
দাবি মানলেও শিক্ষার্থীদের বড় অংশ বের হয়ে আসে উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে । এসময় “স্বৈরচার নিপাত যাক”, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কি?”, “শিক্ষা কোন পণ্য নয়” ইত্যাদি প্লাকার্ড ও দেয়াল লিখন দেখা যায়। আন্দোলনে অন্যতম নেতৃত্বদানকারী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলছেন, “এখানে বাক স্বাধীনতার অভাব, ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর পূণ্যভূমিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল, শহীদমিনার, টিএসসি ও জিমনেশিয়াম ইত্যাদি উন্নয়ন প্রকল্পে বাজেট থাকলেও তার দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নাই।” ম্যূরাল ও জিমনেশিয়ামের ব্যাপারে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক মো: আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, “নতুন করে অধিকতর সুন্দর নকশা করা হয়েছে, ব্যায়ও বাড়ানো হইছে, এই জন্য বাস্তবায়ন কাজ একটু পেছায়, এখনও টেণ্ডারও হয়নি। সুতরাং এসব প্রকল্পে অনিয়মের কোন প্রশ্নই ওঠে না।
” আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষকদের একাংশ শিক্ষার্থীদের কিছু যৌক্তিক দফায় সমর্থন জানানোসহ সচেতন শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে আরো ১৬ দফা দাবি পেশ করেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল: আয়-ব্যায় ও ছাত্রভর্তিতে স্বচ্ছতা, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে মেধা যাচাই, চেয়ারম্যানশীপ-প্রমোশন- আবাসিকতা প্রদানে জ্যেষ্ঠতা অনুসরণ, নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া, ভর্তিফরম ও শিক্ষাসংক্রান্ত ব্যায় কমিয়ে আনা, অন্যায্য কারন দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার ইত্যাদি। একইসময় শিক্ষকদের আরেকাংশ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এবং সেসময়ই উপচার্যপন্থি কিছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
উল্লেখ্য হ্যাকিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে দেয় প্রশাসন। এছাড়াও পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্টতার জন্য আরেক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় বলে প্রশাসন সূত্র জানায়। তবে গতকাল ঐ ডিপার্টমেন্টের কিছু শিক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। যদিও ঐ ছাত্রীর দাবি একটি ফেসবুক পোস্টের কারনে তাকে বহিষ্কার করে। গতমাসেও ছয় শিক্ষার্থীকে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় বহিষ্কার করা হয়।
Comment here