উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে চড়া দামের কারণে কম আয়ের মানুষ খাবারের তালিকায় এখন মাংস রাখতে পারছেন না। বাড়তে বাড়তে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎসব এলে তা ঠেকে ৯০০ টাকায়। এ অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গরুর মাংস আমদানির অনুমতি চেয়েছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই)। এ জন্য তারা ভারত থেকে আগামী তিন মাসে ৫০ লাখ টন মহিষের মাংস আমদানির অনুমতি চায়।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে আইবিসিসিআই। চিঠিতে তারা ভোক্তাদের ৫০০ টাকায় মাংস সরবরাহের কথা জানিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের সংগঠনের সদস্যরা ভারত থেকে ফ্রোজেন হালাল মহিষের মাংস আমদানিতে উৎসাহী। হাড়বিহীন মহিষের মাংস আমদানি করতে পারলে ভোক্তাদের ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছে আইবিসিসিআই।
মাংসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিক্রেতারা দীর্ঘদিন থেকে বলছেন, বর্তমানে সবকিছুর দামই বেড়েছে। একই সঙ্গে গো-খাদ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। গমের ছাল, সরিষার খৈল, ছোলার ভুসি ও খেসারির দাম এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। এতে করে খরচও বেড়েছে। তাই মাংসের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক বিক্রেতারা আবার বলছেন, বাজারে এখন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। এতেও দামে প্রভাব পড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে আসার পর মহিষের মাংস আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্র জানিয়েছে, ভারতও বাংলাদেশে মহিষের মাংস রপ্তানি করতে চায়। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, তারা দেশের খামারিদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরির কাজ করছে তারা।
বাংলাদেশে মহিষের মাংস রপ্তানির অনুমতির অনুরোধ জানিয়ে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন গত বছরের ৭ জুলাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চমানের ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রক্রিয়াজাত করা মাংসের বৃহত্তম রপ্তানিকারক। সেটি বাংলাদেশে অপ্রতিযোগিতামূলক। মহিষের মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোরও অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
Comment here