নিজস্ব প্রতিবেদক : কুয়েতে ভিসা বাণিজ্যের নামে মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের চক্রের অভিযোগে আটক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর। কুয়েতের সিআইডির (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের সঙ্গে যুক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাংসদকে আটকের বিষয়টি কুয়েতের সিআইডির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার রাতে কুয়েত সিটির মুশরিফ এলাকার বাসা থেকে লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপিকে আটক করে তাদের দপ্তরে নিয়ে যায় সিআইডি।
কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘এমপি কাজী শহিদকে আটকের খবর এখানকার গণমাধ্যমে জানার পর এ নিয়ে জানতে রোববার কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখি। এখন পর্যন্ত আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানতে পারিনি।’
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাংসদ কাজী শহিদ গত মার্চে কুয়েত সফরে যান। তবে ব্যক্তিগত ভাবে যাওয়ায় তিনি সবুজ পাসপোর্টে নিয়ে কুয়েত গেছেন। সাধারণত মন্ত্রী, সাংসদ, কূটনীতিকেরা লাল পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ সফর করেন। যা তাদের কূটনৈতিক প্রাধিকার দিয়ে থাকে বিদেশের মাটিতে।
এমপির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিকেলে বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে একজন এমপি এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াবেন তা একেবারেই অনভিপ্রেত। এমন সময় এই ঘটনাটা ঘটেছে যখন পৃথিবীর সব দেশ মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। এমন সময়ে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এতে লজ্জিত।’
Comment here