উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এ জন্য চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দেশের উপকূল এলাকাসহ সারাদেশে প্রবল বেগে অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সতর্কতামূলক সংবাদ পরিবেশ করা হচ্ছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলমান থাকায় শিক্ষাবোর্ডগুলোকেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। এ জন্য ট্রেজারি, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রাখা পরীক্ষা সংক্রান্ত সব গোপনীয় মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা প্রয়োজন।
গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীন এসএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৩ মে। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ মে। এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল পৌনে ২১ লাখ। তবে তাদের মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি।
প্রসঙ্গত, দেশের চারটি সমুদ্রবন্দর থেকে অনেকটা দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। তবে ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়ে আগামী রোববার কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আঘাতের সময় এর গতি ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
এক ব্রিফিংয়ে গতকাল বুধবার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১২ মে নাগাদ এটি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেবে। এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে, সেটা আমাদের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটির গতি ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমারে এটি আঘাত হানবে। এটি টেকনাফের বর্ডার থেকে একটু দক্ষিণ দিক দিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত এমনটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আঘাতের সময় এর গতি ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
Comment here