নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় সদ্য এসএসসি পাস করা এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম লাবিবা ফারহানা শ্রাবণী। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী হাসিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন।
মাস তিনেক আগে হাসিবুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল খুলনার তেরোখাদা উপজেলার হাঁড়িখালি গ্রামের ফারুক শেখের মেয়ে শ্রাবণীর।
স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই হাসিবুর তার চাকরির জন্য বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক আনতে শ্রাবণীকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। এ ছাড়া পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে শ্রাবণীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন হাসিবুর। গত ২৪ ডিসেম্বর শ্রাবণী তার বাবার বাড়িতে গিয়ে যৌতুকের টাকার বিষয়টি জানায়। তখন তার বাবা জানান এত টাকা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এর মধ্যেই গত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলে ‘এ’ গ্রেডে পাস করে শ্রাবণী। সংসারের নানা বিষয় নিয়ে শনিবার বিকেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শ্রাবণীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান হাসিবুর। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে শ্রাবণীকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রাবণীর বাবা ফারুক শেখ অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে চাকরি হলে জায়গা-জমি বিক্রি করে সাধ্যমতো সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা মানতে রাজি হয়নি। টাকা না দেওয়ায় আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
কালিয়া থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, আজ রোববার নড়াইল সদর হাসপাতালে শ্রাবণীর লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
Comment here