করোনার চিকিৎসার নামে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ডাকাতি করছে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

করোনার চিকিৎসার নামে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ডাকাতি করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের চিকিৎসার নামে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিলের নামে ডাকাতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা নিয়ে ছায়া সংসদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘করোনার চিকিৎসায় আকাশচুম্বী খরচ হচ্ছে। ১ হাজার লিটার অক্সিজেনের দাম মাত্র ৭০ টাকা হলেও কোনো কোনো হাসপাতাল ১৫-২০ হাজার টাকা আদায় করছে। বিভিন্ন রকম পরীক্ষার নামে ডাক্তাররা কমিশন নিয়ে থাকেন। এজন্য ৪২০ ধারায় মামলা হতে পারে। চিকিৎসার নামে যা চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন, যাতে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার না হয়ে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারেন।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটি বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিন কেনার যে চুক্তি করা হয়েছে তা যদি সরকারি নিজস্ব ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে করতো তাহলে প্রতি ভ্যাকসিনে ২ ডলার আরও খরচ কম হতো। গণস্বাস্থ্য সর্বপ্রথম করোনা চিকিৎসায় এন্টিজেন টেস্ট প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিল। সরকারের অনুমতির অভাবে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। গ্লোব বায়োটেকের টিকাকেও সরকারের প্রমোট করা প্রয়োজন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত বা জরিমানা করে তা সম্ভব নয়। পাবলিক সার্ভিস প্রণোদনা হিসেবে সকলকে মাস্ক বিতরণ করা জরুরি।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘করোনার এই মহামারির ক্রান্তিকালে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তাবাহিনীসহ গণমাধ্যম কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ১১৫ জন ডাক্তারসহ বহু সাংবাদিক, নিরাপত্তাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গণমাধ্যমগুলো করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সচেতন করছে ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে। কিন্তু সেভাবে তাদের কথা কেউ ভাবছে না। করোনাকালীন সময়ে কর্মরত সাংবাদিকদের জরুরি চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল এবং প্রণোদনা হিসেবে বিশেষ ঝুঁকি ভাতা দেওয়া আবশ্যক। একই সঙ্গে গণমাধ্যমে কর্মরতদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদানের আওতায় আনা উচিত।’

প্রতিযোগিতায় সরকারি দল বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিকে পরাজিত করে বিরোধী দল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে দলগুলোকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, আবুল বশির খান এফসিএমএ, সাংবাদিক জিনিয়া কবির সূচনা, সাংবাদিক ফাল্গুনী রশীদ ও অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন।

 

Comment here