করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলে... - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলে…

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিচ্ছিলেন চার অজ্ঞাত ব্যক্তি। এ সময় ওই কিশোরীর চাচা এগিয়ে গিয়ে ভাতিজিকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও অস্ত্রের মুখে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তিরা। আশেপাশের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাচা-ভাতিজিকে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ অপহরণ করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌর এলাকার আড়াইবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অপহরণের পরপরই হোসেনপুর থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশ ওই অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করতে মাঠে নামে। তারা অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করতে পারলেও অপহৃতদের উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের লোকজনকে আটক করতে তখন ব্যর্থ হয়। তবে ওই কিশোরীর চাচার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়ে রাত ১০টার দিকে ভৈরবে টাওয়ারে তাদের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। আর এ সূত্র ধরে পুলিশ আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

এ সময় অপহৃতরা জানায়, তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কোনো এক নির্জন ঘরের ভেতর আটকে রেখে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতন করা হয়। পরে মুক্তিপণ পাওয়া যাবে না ভেবে তাদেরকে আজ দুপুরে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। মুক্তি পেয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তারা বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি ফেরে।


ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে একটি কালো রঙের অ্যাম্বুলেন্সে চারজন অজ্ঞাত পরিচয়ের লোক এসে আড়াইবাড়িয়া গ্রামের সদর রাস্তার পাশে অবস্থিত রিকশাচালক ইসলামের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলে ইসলামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা রিয়াকে (১২) ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তার চাচা মফিজ উদ্দিন (৪৫) এগিয়ে গেলে তাকেও পিস্তলের মুখে অপহরণ করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

অপহৃত কিশোরীর দাদা এবং মফিজের বাবা জানান, এ ঘটনার পর তারা পুলিশকে জানিয়ে নিজেরাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) মো. সোনাহর আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মুক্তি পাওয়া অপহৃতদের থানা হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অপহরণের রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comment here