করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ৩ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ৩ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪ ও গাইবান্ধা-৩ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলছে। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

বাগেরহাট-৪ আসন ছাড়া বাকি দুটিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে। বাগেরহাট-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এ তিনটি আসনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

উপরির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও বাকি দুটি আসনে ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ইভিএম মেশিনে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে একই মেশিনে অসংখ্য মানুষের আঙুলের চাপ পড়ে। এ কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ইভিএম মেশিনে ভোট দেন তাহলে তার মাধ্যমে এটি অনেকের মাঝে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।’

এদিকে, নির্বাচনকালীন ভোটারদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে এবং ভোট দেওয়ার পর হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। এ ছাড়া ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সচেতনতামূলক ব্যানার টানানো রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা-১০

সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় ঢাকা-১০ আসনটি গত ২৯ ডিসেম্বর শূন্য ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান, শেরেবাংলা ও লালবাগ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন।

তারা হলেন- আওয়ামী লীগের শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান।

এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জন, ভোটকেন্দ্র ১১৭টি ও ভোটকক্ষ ৭৭৬টি। এ আসনটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটকেন্দ্রের ঝুঁকি বিবেচনায় পুলিশ ও আনসারের ১৪-১৬ জন সদস্য মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। থাকবে র‌্যাবের টিমও।

বাগেরহাট-৪

সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া বাগেরহাট-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আমিরুল ইসলাম মিলন ও জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রি। বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়। ফলে দুই প্রার্থীর মধ্যেই হবে লড়াই। এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন, ভোটকেন্দ্র ১৪৩টি ও ভোটকক্ষ ৬২৯টি।

আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভালে ২ জন জুডিশিয়াল ও ২৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। এ আসনের ১৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৩টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৭০৫ জন পুলিশ ও ১ হাজার ৭১৬ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২১টি মোবাইল ও ১০টি স্ট্রাইকিং টিম, ১০ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ১০টি টিম রয়েছে।

গাইবান্ধা-৩

এ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ মোট চারটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিএনপির অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মাইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির মাইনুর রাব্বী চৌধুরী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি।

সংসদ সদস্য ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটিতে ভোটার ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন, ভোটকেন্দ্র ১৩২টি ও ভোটকক্ষ ৭৮৬টি।

সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১০ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১৪টি টিম ও পুলিশের ৪০টি টিম টহলে রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভালে ২ জন জুডিশিয়াল ও ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন।

Comment here