হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারঘাট উপজেলায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এক কলেজছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিক ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর প্রেমিক শামীম আহমেদ মামুনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামুনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক। গ্রেপ্তার মামুন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাতাসর গ্রামের মকসুদ আলীর ছেলে।
ওসি জানান, হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। আসামিরা হলেন মামুন, তার সহযোগী ফজলুর রহমান, আলী হোসেন ও জুনেদ লতিফ ও অটোরিকশা চালক আক্কাছ। তাদের মধ্যে মামুন প্রধান আসামি।
ওসি শেখ নাজমুল হক আমাদের সময়কে বলেন, গত বুধবার ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে মামলা করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে মামুনকে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
চুনারঘাট থানার ওসি আরও বলেন, মামুনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের জের ধরেই তাকে বেড়াতে নিয়ে যান তিনি। পরে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে তার সহযোগীরও ভুক্তভোগীকে গণধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরবর্তীতে বাকি তথ্য জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই কলেজছাত্রীকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে নিয়ে যান মামুন। পরে সেখানে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ সময় সহযোগী ফজলুর, আলী, জুনেদ ও অটোরিকশাচালক আক্কাছ তাদের পাহারা দেয়। মামুনের পর বাকিরা ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে গুরুতর অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন।
Comment here