নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসা এক আইনজীবীকে গত ৫ জুন বিয়ে করেছেন ৬৫ বছর বয়সী রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী বিয়ে করছেন চাউর হলেও আজ শুক্রবার তিনি বিয়ে সেরে ফেলেছেন বিষয়টি প্রকাশ হয়। সুজন যাকে বিয়ে করেছেন তার নাম শাম্মী আক্তার (৪২)। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায়। তার বাবার নাম আবদুর রহিম (মৃত)।
গত শনিবার ঢাকার উত্তরায় রেলমন্ত্রী সুজন ও আইনজীবী শাম্মী আক্তারের আকদ হয়। করোনার কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না করে ঘরোয়াভাবেই এ আয়োজন করা হয়। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আইন বিষয়ে অনুশীলন ছাড়াও শাম্মী ঢাকার একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
শাম্মী আক্তারের বাবা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) চাকরি করতেন। পাবনা জেলায় তাদের আদি নিবাস হলেও পরে চাকরির সুবাদে পরিবারসহ প্রায় ৩৫ বছর আগে বিরামপুরে চলে আসেন আবদুর রহিম। তারপর বিরামপুরের নতুন বাজার এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান।
আজ শুক্রবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী। শাম্মী আক্তারের বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলামও গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাম্মীর ভাই জাহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকেন। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছেন। আইনি বিষয়ে পরমার্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় আমার বোন। পরে আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়।’
জাহিদুল আরও বলেন, ‘পারিবারিকভাবে ৫ জুন উত্তরায় আমার বোনের বাসায় ইসলামী শরিয়ত ও সরকারি আইন মেনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম।’
জাহিদুল জানান, এর আগে কুষ্টিয়ায় শাম্মীর বিয়ে হয়েছিল। তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। শাম্মী বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় থাকেন।
বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী জানান, বিয়ের আলোচনা ঢাকা থেকে শুরু হলেও বিয়ের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছিলেন, বিয়ের ব্যাপারটি কিছু দূর এগিয়েছে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে তিনিই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানাবেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হন তিনি।
Comment here