ধামরাই প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাইয়ে মমতাজ বেগম (২৫) নামে এক নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই নারীকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যা করা হয়। আজ শনিবার সকালে ধামরাইয়ের বালিয়া এলাকা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় ওই নারী শ্রমিককে বহনকারী বাসের চালক ফিরোজ এলাহী সোহেলকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত মমতাজ উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের শাজাহান খাঁনের মেয়ে। তিনি ডাউটিয়া পথিক সিরামিক্স কারখানায় কর্মরত ছিলেন। আর অভিযুক্ত সোহেল রাজবাড়ির পাংশা থানার গালফুলা গ্রামের আমানত মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গত শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পথিক সিরামিক্স কারখানার শ্রমিক পরিবহনকারী গাড়িতে মমতাজ বেগমের মা তাকে কাঠালিয়া গ্রাম থেকে উঠিয়ে দেয়। এরপর অন্য শ্রমিকদের ওঠানোর জন্য গাড়ি বালিয়া এলাকার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু গাড়িটি কিছুদূর যাওয়ার পর মমতাজকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে বাসচালক।
এ সময় বাঁচার জন্য বাসচালকের আঙুল কামড় দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে মমতাজ। একপর্যায়ে চিৎকার করায় মমতাজের ওড়না দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ হিজলিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ফয়েজ উদ্দিনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ফেলে রেখে অন্যান্য শ্রমিকদের নিয়ে কারখানায় যায় বাসচালক সোহেল।
এদিকে ডিউটি শেষে মমতাজ বাড়ি না ফেরায় ওই রাতেই তার ভাই আলমগীর বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি জিডি করেন। পরে স্বজনরা ও স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুজি করে মমতাজের লাশ একটি পরিত্যক্ত ঘরে পায়। ওই রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসচালক সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত মমতাজের ভাই আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে তার মা ছোট বোনকে কারখানার বাসে উঠিয়ে দেয়। এরপর রাতে মমতাজ বাড়ি না ফেরায় আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। পরে থানায় জিডি করার পর একটি পরিত্যক্ত ঘরের ভেতর লাশ পাওয়া যায়। আমি আমার বোন হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনি বাসচালক সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
শনিবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Comment here