সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংহপুর ইউনিয়নের খাইরগাঁও গ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে দলবেধে গণধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেছেন নির্যাতিতা কিশোরীর মা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
মামলা করা পর একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত বিল্লাল হোসেনকে আজ বুধবার আদালতের সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তবে অন্য ৪ আসামি একই গ্রামের মাহমুদ আলীর হোসাইন আহমদ (২০), সুরুজ আলীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিস (২৩), মোজাম্মিল আলীর ছেলে আছকির আলী (২৫) ও তেরাপুর গ্রামের ইসমাইল মিস্ত্রির ছেলে আইয়ুব আলীকে (২০) গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,উপজেলার নরসিংহপুর ইউনিয়নের খাইরগাঁও গ্রামের ১৪ বছরের কিশোরী গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টায় প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে একই গ্রামের পাঁচ বখাটে পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
রাতেই অভিভাবকদের বিষয়টি জানায় কিশোরী। কিন্তু গ্রামের ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের আত্মীয়-স্বজন কিশোরীর অভিভাবকদের মামলা করতে দেয়নি। আপোষে মীমাংসা করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করতে থাকে।
২০ অক্টোবর মঙ্গলবার মেয়েটি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি আপোষে মীমাংসা করার জন্য একাধিক বৈঠক হওয়ায় আশপাশের মানুষসহ গ্রামবাসী এবং পুলিশ ঘটনা জানতে পারে।
পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজির আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. নাজির আলম বলেন,‘ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা জানার পরপরই এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছি। ধর্ষিতের পক্ষে তার মা বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা হচ্ছে। নির্যাতিতা মেয়েটি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।’
Comment here