আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েলে বিরোধী দলগুলোর জোট সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে গতকাল দেশটির পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা ছিল। এই ভোটের মাধ্যমে বিরোধী জোট বিজয়ী হচ্ছে বলেই প্রতীয়মান। ফলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দীর্ঘ এক যুগের শাসনের পতন ঘটতে যাচ্ছে। বিবিসি বলছে, একদিকে ক্ষমতা হারানোর চাপ অন্যদিকে কারাদণ্ডের ভয়ে আছেন ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা এ প্রধানমন্ত্রী।
রবিবারের ভোটের মাধ্যমে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাপ্তি ঘটছে। এর আগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গঠিত নতুন জোটকে তিনি ‘গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জালিয়াতি’র ফল বলে উল্লেখ করেছেন।
চুক্তি অনুযায়ী, এই জোটের নেতৃত্বে থাকবে ডানপন্থি ইয়ামিনা পার্টি। সরকার গঠনের পর এ দলের প্রধান নাফতালি বেনেট প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর ইয়ার লাপিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। ১২০ আসনের নেসেটে সরকার গঠন করতে অন্তত ৬১ আসনের দরকার হয়। কিন্তু গত নির্বাচনেও এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। ফলে এবারো জোট সরকারের দিকেই ঝুঁকতে হচ্ছে ইসরায়েলিদের।
এবার সরকার গঠনের লক্ষ্যে নতুন জোটবদ্ধ দলগুলো হলো- ইয়ার লাপিদের নেতৃত্বাধীন ইয়েশ আতিদ, বেনি গান্তজের নেতৃত্বাধীন কাহোল লাভান, আভিগদোর রিয়েবারমানের নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল বেইতেইনু, মেরাভ মিশেইলির নেতৃত্বাধীন লেবর। নাফতালি বেনেতের নেতৃত্বাধীন ইয়ামিনা, গিডেউন সারের নেতৃত্বাধীন নিউ হোপ, নিতজান হরোউইটসের নেতৃত্বাধীন মেরেটজ এবং মনসুর আব্বাসের মনসুর আব্বাস রাম (আরব ইসলামিস্ট)।
পার্লামেন্টে জোটের সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলে জানা গেছে। এই পূর্বাভাস ঠিক থাকলে নতুন জোটই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে যাচ্ছে। জোট যেন সরকার গঠন করতে না পারে সেজন্য সব চেষ্টাই চালিয়েছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এর আগে নতুন জোটকে ইসরায়েলের জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, নতুন এই জোট ইসরায়েলের ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক। গত ২৩ মার্চ একটি অমীমাংসিত নির্বাচনের পর এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, আগামী ১৪ জুন নতুন সরকার শপথগ্রহণ করবে।
Comment here