কুলাউড়ার টিলাগাঁও ইউনিয়নে মাদরাসা ছাত্রীকে ধারালো কাস্তে দিয়ে কুপিয়েছে এক বখাটে। গুরুতর আহত ওই মাদরাসাছাত্রী সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় মামলা হলে হামলাকারী বখাটে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে গত সোমবার মৌলভীবাজার আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত রুহুলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সকালে টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দুর রহমানের মেয়ে ও স্থানীয় চাউলীয়া জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হাজেরা বেগম (১৪) মাদরাসায় যাওয়ার পথে একই গ্রামের আব্দুল মনাফের বখাটে ছেলে রুহুল আমিন (১৫) গতি রোধ করে। প্রথমে কাস্তে দিয়ে হাজেরার মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে রুহুল। এ সময় মেয়েটি হাত দিয়ে আটকানোর সময় তার ডান হাতের কবজির রগ কেটে যায়।
পরে রুহুল তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় হাজেরা বেগমের আর্তচিত্কারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিত্সাধীন হাজেরা বেগমের ডান হাতের কবজির ওপরে আঘাতের ফলে রগ কেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তার হাতের দুটি স্থানে ১২টি সেলাই লেগেছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন থেকে বখাটে রুহুল আমিন ও হাজেরা বেগমের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এক মাস আগে হাজেরার পরিবারের তিনটি ছাগল রুহুল আমিনের জমিতে গেলে রুহুল ও তার বাবা ছাগলগুলো তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। রুহুলের বাড়ি থেকে ছাগল আনতে গেলে হাজেরার বাবার সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাজেরার বড় বোন ফাহিমাকে মারধর করে বখাটে রুহুল।
পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় তাদের দুটি ছাগল ফেরত দেওয়া হয়। বাকি ছাগলটি ফেরত না দেওয়ায় স্থানীয় টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সালিস ডেকে রুহুল আমিনকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা না দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো হাজেরা বেগমের ওপর এ হামলা চালায় বখাটে রুহুল আমিন।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, মেয়ের বাবা সৈয়দুর রহমান বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
Comment here