ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : পাঁচ বছর বয়সী ভাগিনী রায়না আক্তারকে ১০ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়েছিলেন তারই মামা আশাদুল ইসলাম আশু (৪০)। ঘরে যাওয়ার পরই ছোট্ট রায়নাকে হাত-পা বেঁধে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান মামা। তবে কিছু দূর গিয়েই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকেন রাস্তায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। কিন্তু কেন তিনি এমন নির্মমভাবে খুন করলেন ছোট্ট ভাগনিকে? পরিবার, প্রতিবেশী কিংবা পুলিশ- এখনো কেউ জানে না এর উত্তর।
মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ড ঘটে রবিবার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ক্লাবের বাজারের বানিয়া ভিটা নামক এলাকায়। নিহত রায়না ওই এলাকার রাসেল আহাম্মেদের মেয়ে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। ঘাতক মামাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আশু হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আপন ভাগনিকে হত্যা করলেন- তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে রায়না নিজ ঘরে ছবি আঁকছিল। এ সময় মামা আশাদুল ইসলাম আশু রায়নাকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে যান। সন্ধ্যায় রায়নাকে খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে মামা আশুর ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এদিকে ঘটনার পরই আশু বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিম কার্ডটি খুলে ফেলেন। কিন্তু উপজেলার সিডস্টোর বাজারের মসজিদের সামনে গিয়েই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকেন। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে রাত ১০টার দিকে ঘাতক আশুকে ওই অবস্থায় আটক করে পুলিশ।
Comment here