নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর ও বসুন্ধরা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও ভারতীয় রুপিসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। র্যাবের সিনিয়র এএসপি জাহিদ আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের ব্যাপকতা এবং ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু চক্র দেশব্যাপী জাল টাকা ছড়িয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বিশেষ করে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাটের ব্যাপক লেনদেনকে কেন্দ্র করে জাল টাকার ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এক শ্রেণির অসাধু চক্র আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জাল টাকা তৈরী করে বাজারে ছাড়ছে।’
র্যাব জানায়, প্রতি বছর পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী পশুর হাটগুলোতে জাল টাকার বিস্তাররোধ এবং দেশের সাধারণ জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদেরকে জাল টাকার মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষার জন্য জাল টাকা চক্রকে ধরার পাশাপাশি বাজার থেকে জাল নোট উদ্ধারের লক্ষ্যে র্যাব-২ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল রোববার রাত ১২টা থেকে মিরপুর পল্লবী এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জাল টাকার বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব আরও জানায়, রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ১২/ই ব্লক বাসা নম্বর ৬২ এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা জি ব্লক বাসা নম্বর ১৬১ থেকে আনুমানিক চার কোটি (১০০০ টাকার নোট) জাল টাকা এবং ভারতীয় রুপিসহ (আনুমানিক ৪০ লক্ষ, ৫০০ ও ২০০০ রুপির নোট) ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. সেলিম (৪০),মো. মনির (৪৫), মো. মঈন (৪০), মোছা. রমিজা বেগম (৪০), মোছা. খাদেজা বেগম (৪০), ও মো. শাহীনুর ইসলাম (১৫)।
এ সময় জাল টাকা বানানোর জন্য ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ডাইস, কাটার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল টাকা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল (কাগজ, কালি, জলছাপ দেওয়ার সমাগ্রী) উদ্ধার করা হয় বলেও জানায় র্যাব।
Comment here