খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই কৃষি মন্ত্রণালয় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক রেখে ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনতে কৃষককে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় পরামর্শ। ফলে কৃষিতে ব্যাপকভিত্তিক ক্ষতিসাধিত হয়নি।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গতকাল হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

আম্পানের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক প্রতিবেদন তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অল্পকিছু কৃষিজ ফসলের বিশেষ করে ফলের মধ্যে আম, লিচু, কলা, সবজি, তিল এবং অল্পকিছু বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মোট জমির পরিমাণ ১,৭৬,০০৭ হেক্টর। হাওড়ে শতভাগ, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭ জেলায় ৯৬ ভাগসহ সারাদেশে গড়ে ইতোমধ্যে ৭২ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ সামান্য, যা খাদ্য উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না।

কৃষিমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক প্রতিবেদন বোরো ধান ৪৭,০০২ হেক্টর শতকরা ১০ ভাগ; ভুট্টা ৩,২৮৪ হেক্টর ৫ ভাগ; পাট ৩৪,১৩৯ হেক্টর ৫ ভাগ; পান ২,৩৩৩ হেক্টর ১৫ ভাগ; সবজি ৪১,৯৬৭ হেক্টর ২৫ ভাগ; চিনাবাদাম ১,৫৭৫ হেক্টর ২০ ভাগ; তিল ১১,৫০২ হেক্টর ২০ ভাগ; আম ৭,৩৮৪ হেক্টর ১০ ভাগ; লিচু ৪৭৩ হেক্টর ৫ ভাগ; কলা ৬,৬০৪ হেক্টর ১০ ভাগ; পেঁপে ১,২৯৭ হেক্টর ৫০ ভাগ; মরিচ ৩,৩০৬ হেক্টর ৩০ ভাগৎ সয়াবিন ৬৪০ হেক্টর ৫০ ভাগ; মুগডাল ৭,৯৭৩ হেক্টর শতকরা ৫০ ভাগ এবং আউশ ৬,৫২৮ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন মৌসুমে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তাসহ প্রণোদনা দেওয়া হবে। ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামতো করোনা এবং আম্পানের মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশের খাদ্য উৎপাদনের ধারা শুধু অব্যাহত রেখে তা আরও বৃদ্ধি করে ২০৩০ সালের এসডিজি অর্জন করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Comment here