জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা ও অর্থদ- দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। ওই আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। দুটি আপিলের ওপর গত রবিবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ সোমবার আদেশের জন্য দিন রাখেন। ঘোষিত আদেশে আদালত বলেন, লিভ মঞ্জুর করা হলো। উভয় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, সাজাসংক্রান্ত উভয় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এ আদেশ দেওয়া হয়। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে আপিলের ওপর
শুনানি হবে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান।
আদেশের সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
Comment here