নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ম্যাডামের হার্টের অসুখ। এটা লাইফ থ্রেটেনিং (জীবনের জন্য হুমকি)। এটা আজকে সাময়িকভাবে চিকিৎসকরা সমাধান দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে তার যেসব অন্যান্য রোগ রয়েছে সেটার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়, সেটা দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দরকার।’
আজ শনিবার বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে তার এই অসুস্থতা প্রমাণিত হলো তাকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে, সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সামনে আবার আহ্বান জানাতে চাই এই সরকারের কাছে- অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি এদেশের জনগনের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুই বারের বিরোধী দলের নেতা, এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যার অপরিসীম অবদান রয়েছে তার জীবনরক্ষার জন্য, তার স্বাস্থ্যের জন্য তাকে বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।’
তিনি বলেন, ‘অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। আমি আশা করি আপনাদের মাধ্যমে এই বার্তা তাদের (সরকার) কর্ণ-কহুরে প্রবেশ করবে এবং তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘ডাক্তাররা আগেও বলেছেন, আজকেও যে মেডিকেল বোর্ড বসেছে তারা ম্যাডামকে বিদেশে উন্নত টিট্রমেন্টের জন্য পাঠানোর সাজেস্ট করেছেন।’
বিএনপি দলের চেয়ারপারসনকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সরকারের কাছে আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি। দল থেকে সিদ্ধান্ত এখনো নেইনি। অবশ্যই আমরা নেব। তবে এটা জনগনের দাবি, গোটা বাংলাদেশের মানুষের দাবি যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার জীবন রক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক এবং মুক্তি দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বহুবার দেশনেত্রীর চিকিৎসার ব্যাপারে কথা বলেছি। দলের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি, তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বাইরে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা একসময় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখাও করেছেন।কিন্তু এই সরকার কোনো কর্ণপাত করেনি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য তাকে যে বিদেশে পাঠানো দরকার সেই বিষয়টাকে সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়ে যে ব্যবস্থাটা বলেন সেটা সঠিক নয়।’
Comment here