বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ পাঁচ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হবে, তাদের মধ্য থেকে একজনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে দল। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়া জেলা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ সিদ্ধান্ত দেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুল আহমেদ খান রুবেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাফতুল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়াও যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন তারা হলেন-জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিএম সিরাজ, পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান, জেলা নেতা রেজাউল করিম বাদশা ও জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন। এর আগে এ উপনির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে প্রার্থী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল বিএনপি।
বিএনপির পক্ষ থেকে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। তবে বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে বিএনপি যে অংশ নিচ্ছে, এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সেটি স্পষ্ট হলো। সম্প্রতি ২০-দলীয় জোটের বৈঠকেও নির্বাচনে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে জেলা নেতাদের মতামত জানতেই গতকাল বগুড়া জেলা নেতাদের ঢাকায় ডাকা হয়।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বেগম জিয়ার মনোনয়ন অবৈধ হবে ধরে নিয়ে আরও চারজনকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জিএম সিরাজই এ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। গতকালের বৈঠকেও এমন আভাসই পেয়েছেন উপস্থিত নেতারা। কারণ হিসেবে এক নেতা বলেন, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য ক্রমানুসারে পাঁচজনের নাম বলেছেন তারেক রহমান। সেখানে খালেদা জিয়ার পরই জিএম সিরাজের নাম বলা হয়।
৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচিত হন। সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ না করায় তার আসন শূন্য হয়ে যায়। আগামী ২৪ জুন এ আসনে ভোটগ্রহণ।
এদিকে বৈঠকে বগুড়া জেলা কমিটি গঠন নিয়ে মারামারি, দলীয় কার্যালয়ে তালা এবং বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারেক রহমান। তিনি নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন।
সপ্তাহখানেক ধরে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েক নেতার সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। বগুড়া উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া ঠিক হবে কিনা, তা জানতে চান। তবে প্রার্থী কাকে দেওয়া যেতে পারে, সে ব্যাপারে নেতাদের মতামত নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, বগুড়া জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জিএম সিরাজসহ জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Comment here