খুনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ৪ আসামি গ্রেফতার এবং আদালতে জবানবন্দি প্রদান - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

খুনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ৪ আসামি গ্রেফতার এবং আদালতে জবানবন্দি প্রদান

মোঃ আনছার তালুকদার স্বাধীন : রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেবের নেতৃত্বে
পুকুর পাহারাদার খুনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ জন আসামি গ্রেফতার, খুনের রহস্য উদঘাটন এবং বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১০ টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা থানার দক্ষিণ সাজুড়িয়া গ্রামের আবদুস সালাম প্রতি দিনের মতো নিজ বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে যশোর বিলের মধ্যে আবদুস সোবহান, মুনির উদ্দিন সরদার ও মামুনুর রশিদ বাবলু শাহ’র পুকুরে পাহারা দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাতের কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করে পুকুর পাড়ের একটি ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। নিহতের মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বাগমারা থানায় হত্যা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন।
রোববার সকালে স্থানীয়রা ওই ঘরে সালামের মরদেহ দেখতে পায়। এরপর খবর পেয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবের নির্দেশে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবের নেতৃত্বে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন -দক্ষিণ সাজুড়িয়া গ্রামের ক্যাপা, মামুনুর রশিদ বাবলু শাহ’র ভাই রুস্তম আলী শাহ (৪৫), পুকুরের শ্রমিক সেলিম (৪২) ও গোয়ালকান্দি গ্রামের আবদুস সামাদের মেয়ে শিরিনা বেগম (৩৫)। সূত্র জানায়, গত ১১মে (সোমবার) শিরিনকে রাজশাহী আমলী আদালত -২ এর (বাগমারা অঞ্চল) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.উজ্জল মাহামুদের নিকট হাজির করা হলে শিরিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেন। খুনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উন্মোচন হওয়ায় স্থানীয়দের স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
 এদিকে এলাকাবাসী জানায়, গোয়ালকান্দি গ্রামের আবদুস সামাদের মেয়ে আটককৃত শিরিনার সঙ্গে সালামের অবৈধ সর্ম্পক ছিলো।
গত ৯ মে যশোর বিলের মনিরুলের পুকুর পাড়ের একটা ঘরে রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার দিকে সালাম ও শিরিন শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। পরবর্তীতে শিরিন বিয়ের কথা বললে সালাম রাগান্বিত হয় ও তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে শিরিন কাঠের বাটাম দিয়ে সালামের মাথায় জোরে আঘাত করে ও পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা শিরিনের পরিচিত বাগমারা থানাধীন কেফা, সেলিম ও রুস্তম নামক তিনজন ব্যক্তি এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। তারা সালামের মাথায় আঘাত করে ও গলায় রশির ফাস দেয়। শিরিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Comment here