খুলেছে বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

খুলেছে বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর খুলেছে দেশের অন্যতম বড় দুই শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স এবং যমুনা ফিউচার পার্ক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল শুক্রবার থেকে খোলা হয়েছে বসুন্ধরা সিটি। অন্যদিকে গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খোলা হয়েছে যমুনা ফিউচার পার্কও।

বসুন্ধরা ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মেজর মোস্তাক রেজা বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে আড়াই মাস পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই শপিংমল খোলা হয়েছে। গতকাল প্রথমদিন ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও বেশ ভালো ছিল। তবে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে দর্শনার্থীদের কিছুটা অনীহা থাকলেও মার্কেট কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

বসুন্ধরা সিটি শপিং কম্পপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এমএ হান্নান আজাদ বলেন, সব বিধিমালা মেনে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলেছেন। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে। প্রথমদিকে হওয়ায় ক্রেতা কম। যারা আসছেন সবাই মোবাইলের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।

যমুনা গ্রুপের ডিরেক্টর ড. মো. আলমগীর আলম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ৪ জুন থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বুধবার ছাড়া অন্যদিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সব দোকানপাট, হোলসেল ক্লাব ও ফুডকোর্ট খোলা থাকবে। তবে বন্ধ থাকবে বিনোদন পার্ক ও সিনেমা হল।

তিনি আরও বলেন, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শপিংমলের বাইরে ও ভেতরের সব স্থান (লিফট, এস্কেলেটর,

উন্মুক্ত স্থান, টয়লেট, করিডরসহ) জীবাণুনাশক দিয়ে প্রতিদিন শতভাগ জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। শপিংমলে প্রবেশের সময় যানবাহনে স্প্রে করা হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত দ্রবণ। দর্শনার্থীদের প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক বুথে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে এবং হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে দোকান মালিকদের ৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দোকান কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে। দোকান বন্ধের আগে ও খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভেতর এবং বাইরের চারপাশ ব্লিচিং পাউডার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

Comment here