গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবে বৈদ্যুতিক গোলযোগ, কিট উৎপাদন বন্ধ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবে বৈদ্যুতিক গোলযোগ, কিট উৎপাদন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আগামীকাল শনিবার সরকারকে কিট সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না।

আজ শুক্রবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত ল্যাবে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। ভোল্টেজ এত ওঠানামা করছে যে, প্ল্যান্ট চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কিট উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। ’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে এমন গোলযোগের কারণ বুঝতে পারছি না। ইঞ্জিনিয়াররা এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুরো বিষয়টি পরীক্ষা করছেন। যত দ্রুত সম্ভব আমরা উৎপাদনে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাফরুল্লাহ আরও বলেছিলেন, ‘রক্তের নমুনা পাওয়ায় গণস্বাস্থ্য র‌্যাপিড ডট ব্লট (জি র‌্যাপিড ডট ব্লট) কিট তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে। এই কিটের নমুনা সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (উব্লিউএইচও) ও অন্য সংস্থাগুলোকে দেওয়া হবে, যাতে সবাই এটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে পারে।’

হঠাৎ করে এমন বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ইতিমধ্যে অনেক কাঁচামাল নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা।

কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য তৈরি কিট সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইইডিসিআরসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে পূর্ব ঘোষিত তারিখে কিট সরবরাহ করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পূর্ব ঘোষিত শনিবারের নমুনা টেস্ট কিট সরবরাহ কর্মসূচি স্থগিত করায় সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। এখন হয়তো আরও তিন থেকে চারদিন লেগে যেতে পারে।’

বর্তমানে করোনাভাইরাস শনাক্তে ব্যবহৃত পিসিআর পদ্ধতিটি ব্যয়বহুল। পিসিআর পদ্ধতিতে নাক, মুখের লালা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তবে এই পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তের প্রথম দিনেই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটে এক ফোঁটা রক্তের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হতে হয়। ফলে গণস্বাস্থ্যের কিটে পরীক্ষাটি আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় দিনে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, গণস্বাস্থ্যের কিটের মাধ্যমে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

Comment here