গৃহবধূকে উত্যক্তের সেই ঘটনায় নিহত ২ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

গৃহবধূকে উত্যক্তের সেই ঘটনায় নিহত ২

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে উত্যক্তের ঘটনায় সংঘর্ষে তোরাপ আলী (৮০) ও ফজলু (৪০) নামে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ আরও ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার উপজেলার খাঁন মরিচ ইউনিয়নের দাসবেলাই গ্রামে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দাসবেলাই গ্রামের গফুর আলীর পরিবারের এক গৃহবধূকে একই গ্রামের মফিদুল ইসলাম কয়েকদিন আগে উত্যক্ত করেন। এতে গফুর আলী গ্রামের প্রধান আবুজল প্রামানিক ও বেলাল হাজীর কাছে বিচার প্রর্থনা করেন।  কিন্তু গ্রাম প্রধানরা অভিযুক্ত মফিদুল ইসলামের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে উল্টো গফুর আলীর বাড়িতে গিয়ে তাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে বলেন। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

এ সময় মফিদুল ইসলাম ধারালো ছুড়ি ও লাটিসোটা নিয়ে গফুর আলীর বাড়ির পেছনে অপেক্ষা করছিলেন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বেলাল হাজী ও আবুজল তাদের সঙ্গে থাকা লোকজন নিয়ে গফুরের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীরা তোরাপ আলী ও ফজলুল হককে কুপিয়ে জখম করেন এবং একই পরিবারের গফুর আলীসহ অপর ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যন আসাদুর রহমান আসাদ বলেন, ‘সংর্ঘষের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরপর দুইজনের মৃত্যু হয়।  গ্রামে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। নিহতদের পরিবারের লোকজজন পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিলে গ্রাম পুলিশ ও থানা পুলিশ সেখানে মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়র হোসেন বলেন, ‘পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের রত্না নামের এক নারী ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পরপরই পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।’

 

Comment here