চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি আবদুন নুর (২৫) গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে উপজেলার চায়না ইকোনোমিক জোনের পাহাড়ের ভেতর থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আবদুন নুর আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় ডাকাতি ও ছিনতাইসহ চারটি মামলা রয়েছে। তিনি উপজেলার বৈরাগ এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের গোলাগুলির খবর শুনে সকালে আমরা চায়না হার্টিক্যাল ইকোনমিক জোনের পাহাড়ে যাই। সেখানে আবদুন নুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত বুধবার রাতে দলবেঁধে যে কিশোরী গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণ করা হয়েছিল, সে ঘটনায় প্রধান আসামি ছিলেন আবদুন নুর।’
এ সময় নিহতের পাশ থেকে একটি এলজি ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেডের কোরিয়ান সু ফ্যাক্টরির শ্রমিক ওই তরুণী কাজ শেষে গ্রামের বাড়ি ফেরার জন্য উপজেলার চাতরি চৌমুহনী স্টেশন থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। তখন ওই অটোরিকশায় চালকসহ চারজন ছিলেন। গাড়িটি ছাড়ার পর চালকসহ চারজন মিলে স্থানীয় কালার বিবির দীঘি সংলগ্ন এলাকায় প্রস্তাবিত চায়না অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাহাড়ের কাছে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে আবার আনোয়ারা চাতরি চৌমুহনী এলাকায় এনে তাকে সড়কের পাশে ফেলে যায়।
খবর পেয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ওই তরুণীকে এলাকার লোক উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গত শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. মামুন (২১) ও মো. হেলাল উদ্দিন (৩০) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রাণী রায়ের আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আসামিদের মধ্যে মামুনের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকায়। আর হেলালের বাড়ি পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকায়।
Comment here