শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে হাসান আলী শেখ (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এর আগেও তার দুই স্ত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৪ জুন রাতে উপজেলার ভবানিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাসান আলী দুই স্ত্রী রেখে পঞ্চম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। পরদিন এ ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। কিন্তু ওই ছাত্রীর বয়স ৩ মার্চ ২০০১ সাল দেখিয়ে ১৬ জুন তাকে বিয়ে করেন হাসান। পরে তাদের উদ্ধার করা হলেও ভুয়া জন্ম সনদের মাধ্যমে কাবিননামায় প্রাপ্তবয়স্ক দেখানোয় তৃতীয় স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে ওই ছাত্রী স্বামীর বাড়িতে সংসার শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, হাসানের ‘চরিত্র খারাপ হওয়ায়’ তাকে কেউ বাড়িতে ঢুকতে দিত না। কিন্তু ওই ছাত্রীর আত্মীয় হওয়ার সুবাদে হাসান তাদের বাড়ি আসা-যাওয়া করতেন। এই সূত্র ধরেই ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে ভুয়া জন্ম সনদের সার্টিফিকেট বানিয়ে বিয়ে করেন হাসান।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা কদম আলী বলেন, ‘আমার মেয়েটি নাবালিকা, কেবল পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আর ছেলে হাসানের বয়স ৪০ বছর এবং তার আগের দুই স্ত্রীও আছে। সে আমার নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেলে তাকে খুঁজে না পেয়ে শেরপুর থানায় অভিযোগ করেছিলাম।’
এ বিয়ের কাজী এ কে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি জন্ম সনদ দেখে বিয়ে পড়িয়েছি।’
বিষয়টি নিয়ে শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিয়াম বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মেয়ের বাবার হাতে তুলে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনা পারভিন বলেন, ‘বিয়ে হয়েছে এ বিয়টি আমাদের জানা নেই। তবে সে গোয়ালজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।’
এ বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদ আলাম রানা বলেন, ‘এটা বাল্যবিবাহ, আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Comment here