কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মৌবাড়িয়া এলাকায় গলা কেটে পালানোর সময় একজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।এমন ঘটনার পর এলকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টির হয়েছে।মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা।
আটককৃতের নাম রকি, সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেনের ছেলে।
এ দিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শ্যামপুর- মৌবাড়িয়া সংযোগ সড়কের মাঠ থেকে আর্তচিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে গিয়ে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
দৌলতপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করে পালানোর সময় টহল পুলিশ কয়েকজনকে দেখতে পায়। তখন গাংনীর বাসিন্দা রকিকে আটক করা গেলেও তার সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পালাতে সক্ষম হয়। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের কোনো পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি।
অপর দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আযম খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি ইজি বাইক ছিনতাইয়ের ঘটানকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে রকি নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
Comment here