চীন থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

চীন থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ

অনলাইন ডেস্ক : চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে নিজ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োডো নিউজ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের চার্টার্ড বিমানের একটি ফ্লাইট চীনের উহান থেকে ২০৬ জন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত। ফেরত আসা নাগরিকদের অ্যাম্বুলেন্সে করে টোকিওর সংক্রামক রোগের বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফেরত আসা এক জাপানি নাগরিক টাকায়োকি ক্যাটো বলেন,উহান শহর ছাড়ার আগে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে এবং বিমানে উঠার পরও সেখনে থাকা চিকিৎসকরা আবারও তাদের তাপমাত্রা মেপে দেখেন।

জাপানে ফেরত আসা ব্যক্তিদের কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায়নি কিংবা তারা কেউ অসুস্থ ছিলেন না। তারপরও দেশে আসার পরে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের আরও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

ফেরত আসা জাপানিরা জানান, উহানে বসবাসকারী জাপানের আরও চার শতাধিক নাগরিক নিজ দেশে ফেরত আসতে চাচ্ছে।

এদিকে, উহান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিয়ে আলাস্কার উদ্দেশে একটি বিমান ছেড়ে গেছে। সেখানে ফেরত আসা মার্কিনিদের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত কেউ আছে কিনা তা যাচাই করা হবে। আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে সেখানে হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারপর সেখান থেকে বিমানে করে তাদের ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে, ব্রিটিশ সরকার প্রয়োজন ছাড়া চীন ভ্রমণের ওপর সর্তকতা জারি করেছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হংকংয়ে চীনের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সকল রেল যোগাযোগ ও বিমান চলাচল অর্ধেকে নামিয়ে আনার কথা জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ কেরিয়া তাদের লোকজনদের ফিরিয়ে আনতেও বিমান পাঠাবে এবং ফ্রান্স, মঙ্গোলিয়া ও অন্যান্য দেশও চীনে আটকা পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে।

এদিকে, করোনাভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য উহানসহ হুবেই প্রদেশের আরও ১৬টি শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দিয়েছে। যার ফলে সেখানে প্রায় ৫০ মিলিয়ন লোক আটকা পড়েছে।

চীনের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহের জন্য জাপান থেকে ২০ হাজার মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা সারঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।

এ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্যে চীন আড়াই হাজার শয্যার দুটি আলাদা হাসপাতাল নির্মাণ করছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ জনে। এ ছাড়া ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।

Comment here